সিলেট বিডি ভিউ:জ্ঞানের দৈন্যতা মেধার শুন্যতা বিচক্ষনতার অভাব যেখানে প্রকট সেখানে দেখবেন লুংগি খোলে পাগরি বাঁধার ধুম।
২০০১ সালের দিকে তালেবান যখন ক্ষমতায় আসে তখন ফিকাহর কিতাব সামনে নিয়ে ৭০০/৮০০ বা তার আগে রচিত মাসআলা মত সমাজ পরিচালনা আরম্ভ করে।
শিয়াদের নির্মূল, হিন্দুদের গেরুয়া লেবাস, ক্রিস্টানদের আলাদা ধর্মীয় পরিচয়, বামিয়ানে বৌদ্ধদের মন্দীর ভাংগা। তাতে কি হল? গোটা বিশ্ব তালেবানের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। পাশের দেশগুলোও আতংকে তালেবানকে প্রত্যখ্যান করে।
২০২৫এ পরিবর্তিত দুনিয়ায় এসে তালেবান বুঝতে পারে পুরানা লেখা ফিকাহর মাসআলা এখানে এখন ফিট করা যাবেনা। তাই তারা শিয়া বৌদ্ধ হিন্দু সহ সকল কমিউনিটির সাথে ভাল ব্যবহার ও সহযোগিতা দেয়া নেয়া শুরু করে। এজন্য টিকে আছে আশাকরি টিকবে ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশের কওমি প্রজন্ম যারা তারা আধুনিক জ্ঞান ও সমাজ ব্যবস্থার সাথে পরিচিত নয়। সবসময় গেল গেল নিল নিল এক আওয়াজ শোনাযায়।
আওয়ামিলীগের বিশ্বাস হল রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মের ছায়াটুকু রাখবেনা। আর বিএনপির বিশ্বাস হল আল্লাহর উপর বিশ্বাস এর সাথে সার্বভৌমত্ব জনগনের। আর জাতীয়তাবাদী চেতনা। মানে আল্লাহ তুমি রাজি থাক শয়তান তুমি খুশি হও।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী পতিতাবৃত্তি বৈধ। মদ সুদ জুয়া বৈধ। এসবের লাইসেন্স প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদ নেয় সুদ দেয়। এবং জাতিসংঘের অধীনে ট্রান্সজেন্ডার সমকামী সহ সকল বিধান মানতে বাধ্য।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বলে পরকিয়া বৈধ। স্ত্রী স্বামীর উপর ধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের করতে পারে। যে কোন সম বয়সি কেহ তাদের ইচ্ছায় যৌন মিলনে রত হতে পারে। বৈবাহিকতা হল একটি সামাজিক প্রথা।
এখন আমাদের মোল্লা হুজুরদের কাছে প্রশ্ন যে আপনারা আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ভাবে এইসব কুফরি কাজের মোকাবিলা কিভাবে করবেন?
প্রতিটি কওমি মাদ্রাসা ও তার সংশ্লিষ্ট উলামা সুদি ব্যাংকে লেনদেন করেন।
কোরআন হাদিসের ভাষ্যমতে সুদ গ্রহন সহযোগিতা ও সাক্ষাৎ আল্লাহর সাথে যুদ্ধের সামিল। মায়ের সাথে জীনার সমকক্ষ।
অন্তত জামাতে ইসলাম ইসলামি ব্যাংক কায়েম করে কিছুটা হলেও সুদি ব্যবস্থা থেকে বেরোনোর পথ দেখিয়েছে।
স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামহীন স্যাকুলার শিক্ষা ব্যবস্থায় ছেলে মেয়েদের অবাধ যৌনতা জারজ সন্তানের ভয়াবহতার লাগাম টানতে এই আক্বীদা ব্যবসায়িরা কি করেছেন জানতে ইচ্ছে করে।
আক্বীদা আক্বীদা বলে যারা চিৎকার করছেন তারা কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের প্রাণ সিজান আরএফএল ও বেস্ট বাই এর ক্রেতা হয়ে নবিজীর কলিজায় প্রতিনিয়ত আঘাত করছেন। খতমে নবুয়তের সাথে করছেন মশকরা।
উদাহরণ দিলে শেষ হবেনা। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ইহুদি নাস্তিক আস্তিক চোর ডাকাত খুনী ধর্ষককে নিয়ে এসমাজ। রাষ্ট্র পরিচালনায় আক্বীদার মাসআলা যারা টানে তারা নেহায়েত মুর্খ ও অনভিজ্ঞ বটে।
রাষ্ট্র সম্পর্কে নুন্যতম কোন ধারনা নাই।
আক্বীদা যারতার রাষ্ট্র সবার। আপনি ক্ষমতায় গেলে আপনার বিপরীত আক্বীদার লোকদের কি দেশ থেকে বের করে দিবেন?
এসব অযৌক্তিক বোকামি লেকচার বাদদেন। মসলক মজহব থাকুক নিজ নিজ জাগায়। দেশ পরিচালিত হবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।
লেখক: খতিব তাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, দানবীর, সমাজসেবক, কওমি মাদরাসা শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনের রূপকার,
আপনার মতামত লিখুন :