এম এ মালিক: সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিমপুর গ্রামের একমাত্র রাস্তা বিগত ১৫ বছর পূর্বে কাজ হয়েছিলো, তারপর থেকে আজ পর্যন্ত কারো সুনজর এই রাস্তায় পড়েনি, কত মেম্বার চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান এমপি আসলেন আর গেলেন কাজের কাজ কিছুই হয়নি, শুধু আশ্বাস আর বিশ্বাস এর কথা বলে শেষ। ঢাকা সিলেট মহাসড়ক সংলগ্ন রাস্তাটি ভেঙে সৃষ্টি হওয়া গর্ত এখন পরিণত হয়েছে মরণফাঁদে।বর্ষা ও বন্যায় রাস্তা ডুবে যায় তখন ভরসা নৌকা।
গ্রামের একমাত্র রাস্তা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককের সাথে সংযুক্ত, এই রাস্তা দিয়ে ইব্রাহিমপুর,গজিয়া, সুন্দিখলা ও নুরপুর, চাতলপার গ্রামের অনেক মানুষজন যাতায়াত করেন, পুরো রাস্তাটি খারাপ, ভাংগা, গর্তে বৃষ্টি বাদলে আরো ভয়ংকর হয়, রাস্তাটির এই অংশ এখন মরণফাঁদ এখানে ঘটছে দুর্ঘটনা, লোকজন হচ্ছে মারাত্মক আহত, কখনো রিকশা,টমটম, সিএনজি, অটোরিকশা, পিকআপ উঠতে নামতে উল্টে যাচ্ছে। বিগত ১৫ বছর ধরে কোন প্রকার মেরামত হয়নি। স্থানীয় যুবক আনহার মিয়া, প্রবীণ মুরব্বি তাহের আলী বলেন, এই রাস্তা দিন দিন আমাদের জন্য অভিসাফ হচ্ছে, এই অভিসাফ থেকে আমরা মুক্তি চাই।
রাস্তাটি ভেঙে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে একপাশ দিয়ে চলাচল করতে পারলেও যানবাহন চলাচল অসম্ভব। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কখনো ভ্যান ও মোটর সাইকেল উল্টে পড়ে যাচ্ছে খাদে আবার কখনো পথচারী ছিটকে পড়ছে গর্তে। অনেকে গুরুতর আহত হয়েছেন, ইতিপূর্বে অটোরিকশা দূর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও রাস্তা ভাংগার অন্যতম কারণ এই রাস্তা দিয়ে পিকআপ ছোট, মিনি ট্রাক, ও বড় ট্রাক যাতায়াত করে অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে। কেহ কারো নিষেধ মানতে চায়না সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ করলে সবাই পালন করতো।
এলাকাবাসীর দাবী রাস্তাটি জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার /নতুন ভাবে তৈরি করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :