পাগলের টাকা কতজনে খায়:আমার পিছনে পিচঢালা রাস্তায় প্লাস্টিক বস্তা পরা খালি গায় এক পাগল। এ আসলে পাগল না। এই পাগল একেকদিন একেক রাস্তায় পাগল বেশেই হাঁটে।
তার কাছে ছোট্ট একটা বাটন ফোন আছে,
নিদিষ্ট কয়েক জনের মোবাইল নম্বর আছে।
সে কারো কল রিসিভ করবে না।
তার মোবাইলে কোনো নম্বর সেইফ নেই।
পরনে বস্তা, বস্তার নীচে হাফপ্যন্ট আছে।
হাফপ্যন্টের পকেটে মোবাইল আছে।
পকেটে পলিথিন দিয়ে মোবাইল মোড়ানো! কয়েকটি নম্বর আছে।
তার যাকে প্রয়োজন তাকে বলবে অমুক রোডে আসো, রিকশা না সিএনজি কি নিয়ে আসবে তাও বলে দিবে। আসবে টাকা দিবে এরপর এদিক ওদিকে তাকাবে, যে আসছে তার আগে পিছে কি আছে দেখবে, নিরাপদ মনে করলে টাকা নিবে, এরপর বলবে ঐ যে গাছের গোড়া, বা কারেন্ট এর খাম্বা বা ময়লার ভাগাড়, আমি ফোন দিলে এখানে আসবে।
পাগলের সময়মতো পাগল তাকে ফোন দিবে, যেখানে বলেছিল ফোন পেলে সেখানে ঐ লোক আসবে কিন্তু পাগলকে পাবে না।
আশপাশে দুইজন লোক পাবে, যে লোক এসেছে এদের ছবি গোপন ক্যমেরায় তোলা আছে তাদের কাছে, ছবির সাথে মিলে গেলে জিনিস নিদিষ্ট স্থানে রাখবে, আগত ঐ লোক জিনিস নিয়ে যাবে। যদি দেখে পুলিশ বা সন্দেহজনক কেউ সঙ্গে আছে, কৌশলে পাগলের দলের দায়িত্বরত দুই ভদ্রলোক কেটে পড়বে, পাগলের বলা স্থানে জিনিস রাখবে না। জিনিস হলো মাদক তা অন্যত্র রাখা থাকবে।
এই পাগলের কাছে যে আসলো, তাকে ধরা হলো, কৌশল করে এরে দিয়ে পাগলকে ধরা হলো। বিস্তারিত লিখে মাদক উদ্ধার দেখিয়ে কোর্টে পাঠানো হলো একবার।
পাগলের পক্ষে একশ উকিল দাঁড়ায় পাগল পাগল বলে চিল্লায়।
সরকারি প্রসিকিউটর পাগল না বলে মন্তব্য করে।
বিচারক পাগলকে পরীক্ষার জন্য ডাক্তার এর কাছে পাঠায়।
ডাক্তারের কাছে একটা ফোন আসে, স্যার স্যার বলতে বলতে, একমিনিটে ডাক্তার মানসিক রোগী লিখে দেয়। পাগল জামিন পায়।
পাগলের কতো আয়, পাগলের টাকা কতজনে খায়!
লেখক: সেলিম মিয়া
(পুলিশ কবি সেলিম মিয়া)
অফিসার ইনচার্জ বাংলাদেশ পুলিশ।
Editor and Publisher: Foysol Ahmed Malik,
Office: Osmaninagar, Sylhet bangladesh. Email: sylhetbdview@gmail.com,
Mobile: WhatsApp: 01711338911
www.sylhetbdview.com