সিলেট বিডি ভিউ: ট্রানজিট, ট্রানশিপমেন্ট এবং কোরিডোরের মধ্যে পার্থক্য
ট্রানজিটঃ একটি দেশ দ্বিতীয় কোন দেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের জন্য যখন পণ্য বহন করে নিয়ে যায়, সেটিকেই মূলতঃ ট্রানজিট বলে। এক্ষেত্রে প্রথম দেশটি দ্বিতীয় দেশটিকে ট্রানজিট-সুবিধা দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
যেমন- বাংলাদেশকে ভারত ট্রানজিট দিলে,
বাংলাদেশের পণ্যবাহী গাড়ি ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল, ভুটান বা তৃতীয় কোন দেশে নিয়ে যেতে পারবে।
অর্থাৎ Transit হতে হলে অন্তত ৩টি দেশের প্রয়োজন হয়। এখানে শুধু ২য় একটি দেশের ভূমি ব্যবহার করা হয়। যানবাহন ১ম দেশটিরই হয়।
ট্রান্সশিপমেন্টঃ একটি দেশের পণ্যবাহী যানবাহনগুলো প্রতিবেশী একটি দেশের সীমান্তবর্তী বন্দরে গিয়ে মালামাল গুলো ঐ দেশের নিজস্ব যানবাহনে তুলে দিবে।
সেই যানবাহন গুলো মালামাল পরিবহন করে অন্যপ্রান্তের সীমান্তে অপেক্ষমান সে দেশের যানবাহনে তুলে দিয়ে আসবে নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে- এটাই ট্রান্সশিপমেন্ট।
যেমন- ভারতের পণ্যবাহী জাহাজগুলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে তাদের পণ্যগুলো খালাস করে।
তারপর বাংলাদেশের ট্রাকগুলো সেই পণ্য বহন করে ভারতের আসাম- ত্রিপুরার সীমান্ত পর্যন্ত গিয়ে আবার ভারতের ট্রাকে তুলে দিয়ে আসে।
ট্রান্সশিপমেন্ট স্থল বন্দর দিয়েও করা যায়
যেমন বাংলাদেশের গার্মেন্টস সামগ্রী ট্রাকে করে বেনাপোল সীমান্তে যায় সেখান থেকে ভারতীয় যানবাহনে সেগুলি দিল্লি বিমান বন্দরে যায়। সেখান থেকে বিমানে গার্মেন্টস সামগ্রী ইউরোপ, আমেরিকা সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানী করা হয়। সাম্প্রতিককালে ভারত এই ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে।
অর্থাৎ Transhipment এ ভূমি যার, যানবাহনও তার হতে হবে।
কোরিডোরঃ কোনো দেশের এক এলাকার সঙ্গে অন্য এলাকার যোগাযোগ ও মালামাল পরিবহনের জন্য অন্য দেশের কাছে তার, ভূমি, পথ ও বন্দর ব্যবহারের যে অধিকার চাওয়া হয়, সেটাই করিডোর।
যেমন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের কোন যানবাহন বাংলাদেশের উপর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে গেলে ‘বাংলাদেশ’ হলো তাদের জন্য করিডোর।
তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া
Editor and Publisher: Foysol Ahmed Malik,
Office: Osmaninagar, Sylhet bangladesh. Email: sylhetbdview@gmail.com,
Mobile: WhatsApp: 01711338911
www.sylhetbdview.com