ইসলামি ডেস্ক:যাকাত ইসলামি আয়কর এবং গরিবের হকযা দরিদ্র আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশী ও সামাজিক দায়িত্বতুমি যে রুজগার কামাও, তুমি যে সংগ্রাম কর,তোমার হালাল রুজগার কর সেটা পরিপূর্ণ নয়হালাল যাকাত আদায়ের মাধ্যমে হয় ।
এই তো একটি সত্য, জীবনের এক অমূল্য শিক্ষা,
ধন সম্পদ সবই, আল্লাহরই দান,
তার অংশ রয়েছে অন্যদের ভাগে।
যাকাত— হল ইসলামিক কর ,তাহা আল্লাহর নির্দেশ,
অন্যদের জন্য হালাল রুজগারের পরিশুদ্ধতা অর্জন।
তবে যারা মনের অন্ধকারে, ভুলে যায় এই দায়িত্ব,
তাদের প্রতি প্রেরণা—প্রথম হক, তোমার নিকটাত্মীয়।
গরিবদের দিকে তাকাও, যাদের একটুখানি দানে,
হাসি ফোটাবে, আশার আলো জ্বালাবে, জীবন হবে সহজ।
নিকটাত্মীয়দের সেবা, তোমার প্রথম কর্তব্য,
এই দানে আল্লাহও সন্তুষ্ট, তোমার জন্য মহা পুরস্কার।
তারপর প্রতিবেশী, যারা তোমার আশেপাশে,
তাদেরও তুমি ভুলে যেও না, জাকাত তাদেরও প্রাপ্য।
একজনের সুখী জীবন, সবার কাছে শান্তি আনবে,
এভাবে সমাজে সুস্থতা, সমৃদ্ধি, একতা বাড়বে।
ধর্মীয় মূল্যবোধে এই দায়িত্ব জরুরি,এটি শুধু ব্যক্তি নয়,
জাতির কল্যাণের পাথেয়।
যাকাত—এটি শুধু কর নয় , বরং নিজের অন্তরও শুদ্ধ করে ,সৎ রুজগারে রহমত বরকত আনে যে পথ আল্লাহ নির্দেশ দেন, সে পথেই চল। এই সামাজিক দায়িত্বে দানে তুমি পাবে শান্তি,হালাল রুজগার হবে পরিশুদ্ধ, বাড়বে মানবতা, সৌহার্দ্য
যাকাত হলো পবিত্রতা ও রহমত:
📖 “তুমি তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করো, যা দ্বারা তুমি তাদেরকে পবিত্র করবে এবং পরিশুদ্ধ করবে…
(সুরা আত-তওবা: ১০৩)
যাকাত ধনীদের সম্পদকে বিশুদ্ধ করে এবং গরিবের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে:”তাদের সম্পদে রয়েছে প্রার্থী ও বঞ্চিতদের নির্দিষ্ট অধিকার।”
(সুরা আয-যারিয়াত: ১৯)
যাকাত লোভ ও ঈর্ষা দূর করে, বরকত বাড়ায়:📖 “আল্লাহ সুদকে বিনষ্ট করেন এবং দান-সদকা (যাকাত) বৃদ্ধি করেন।”
(সুরা আল-বাকারা: ২৭৬)
যাকাত দিলে প্রকৃত সফলতা অর্জিত হয়:📖 “যারা নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয়, এবং আখিরাতে দৃঢ় বিশ্বাস রাখে—তারাই সত্যিকারের সফল।”
(সুরা লুকমান: ৪-৫)
যাকাত শুধু ধনীদের জন্য নয়, বরং যাদের নেসাব পরিমাণ সম্পদ আছে, তাদের জন্য ফরজ। যাকাত শুধু গরিবদের সহায়তা নয়, এটি ধনীদের সম্পদের শুদ্ধতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। যাকাতের নির্দিষ্ট ৮টি খাত আছে, যা কুরআনে নির্ধারিত হয়েছে (সুরা আত-তওবা: ৬০)।
লেখক: মিসবাহ সিদ্দিকী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক শিক্ষানুরাগী, ওসমানীনগর সিলেট।
আপনার মতামত লিখুন :