কথা সুর ও সাধনা মিলে সংগীতশিল্পীঃ রেবিন চৌধুরী


admin প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন /
কথা সুর ও সাধনা মিলে সংগীতশিল্পীঃ রেবিন চৌধুরী

গান সংস্কৃতির এমন একটি অংশ যা খুব সহজে একজন শিল্পী সুরকার এবং গীতিকার কে একসঙ্গে মানুষের খুব কাছে নিয়ে যায়। অচেনা অপরিচিত জনকে সুপরিচিত করে দেয়।

তাই গান লেখার প্রতি আমার একটা আলগা পিরিত আছে।
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী এস ডি শান্ত, বাংলাদেশ বেতার সিলেট ব্রাঞ্চের লোকসংগীত এবং আধুনিক গানের একজন নিয়মিত শিল্পী।
এ ছাড়া বিভিন্ন সংগীতালয়ের গানের শিক্ষকতাও করেন।
তার গায়কী আমাকে মুগ্ধ করেছে পাশাপাশি সে স্মার্ট শিক্ষিত মার্জিত সৎ এবং কর্মট ব্যক্তিত্বপরায়ণ মানবতাবাদি একজন সুন্দর মনের মানুষ হিসাবে আমি তাকে অনুধাবন করেছি। যে কারনে তার কন্ঠে আমার কিছু গান তুলে দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।
আর সম্মানির দিক বলতে তার কোন চাওয়া নেই, তার সাথে যারা কাজ করেন তাদের জন্য খুব সামান্য বিবেচনা করা এটুকুই।

তার ওস্তাদ জনাব মোহাম্মদ উস্তার আলী যিনি গ্রেজুয়েশন করেও সংগীতকে আখড়ে ধরেছেন। উনার সাথে ফোনে কথা বলে জানতে পারলাম ১২/১৪ বছর বয়স থেকে সে প্রফেশনাল পর্যায়ে গান করে সংসারের হাল ধরতে বাধ্য হয়েছিল পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য। একটা কটিন পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও সে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়ে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছে এটা কম কৃতিত্বের বিষয় নয়। ভালো একটা জব ও করেছে কিছুদিন। কিন্তু তার গান পাগল মন পরের চাকরি করতে বসিভুত না হওয়ায় নিজেই রিজাইন দিয়ে গানটাকে আখড়ে ধরেছে। আসলে প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব একটা ভুবণ রয়েছে সেটাকে প্রাধান্য দেওয়া বুদ্ধিমত্বার প্রমাণ। মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলায় তার বাড়ি।

সোস্যাল মিডিয়ার বদৌলতে তার সাথে আমার পরিচয় ঘটে। লেখক কবিদের ভীড়ে আমি অতি নগন্য, কবিতা লেখার পাশাপাশি গান ছোটগল্প প্রবন্ধ ইত্যাদি লেখার চেষ্টা করি। সখের বসে গান লেখার শুরু করি এরপর বিগত ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রে গীতিকার অনুমোদন লাভের আশায় কয়েকবার ২৫টি গানসহ আবেদন করে আসছি কিন্তু দূর্ভাগ্য বসত আমার ফাইটি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি লাভ করতে পারেনি। এ পর্যন্ত আধুনিক ও লোকসংগীত, আধ্যাত্বিকসহ হাজারের কাছাকাছি গান রচনা করেছি আশা ছিলো বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হিসেবে অনুমোদন পেলে গানগুলোকে বই আকারে প্রকাশ করব তাই এখনো গানের বই করছিনা তবে আগামীতে বই করার ইচ্ছা আছে।

কয়েকটি গানে ইতি মধ্যে শিল্পীর কন্ঠে ঠাই পেয়েছে। ইদানিং এস ডি শান্ত আমার কিছু গান তার মায়বী কন্ঠে ধারন করার ইচ্ছা পোষণ করায় আমি কয়েকটি গানের লিরিক তাকে দিয়েছি আশাকরি ক্রমাহ্নয়ে গানগুলো সোস্যাল মিডিয়ায় আসবে।
আমার লেখা গানের কথাগুলো প্রেমভাবে সম্বৃদ্ধ। আবেগ অনুভূতির সংমিশ্রণ ছাড়া কোন লেখাই পাঠক কিংবা শ্রোতাকে প্রাণবন্ত করার মতো রুপ ধারন করতে পারেনা। গল্প প্রবন্ধ কিংবা কবিতা লিখতে যেমন বিপরীতে বিষয়বস্তু প্রয়োজন তদ্রুপ গান লিখতে ও প্রয়োজন প্রেম ভালোবাসা আবেগ অনুভূতির সাথে বিপরীতে কেউ একজন বা কিছু একটা। লেখক কবিরা সেটা প্রকৃতি এবং সমাজকে উপলব্ধি করে নিজের আবেগ অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সাজিয়ে গুচিয়ে ভাবের প্রকাশ ঘটান।
সুরকারের সুর আর শিল্পীর শানিত কন্ঠই মূলত একজন গাীতিকারের কথামালা কে শ্রুতিমধুর করে তোলে। পরিশেষে বলতে চাই আমার গান প্রকাশের এই ভাবনাটা জেনে শোনে বিষপান করার মতোই। মহান আল্লাহ রাব্বুল আমাকে লিখার শক্তি দিয়েছেন বলেই আমি অধমে লিখতে পেরেছি প্রতিটি রচনাই আমার কাছে একেকটা সন্তানসম বিধায় গান বাজনা হারাম জেনেও আমি নিজেকে এর থেকে সরিয়ে রাখতে পারছিছিনা কে কি বলল সেটা আমার বিবেচ্য বিষয় নয় মহান আল্লাহর দয়া চাই আল্লাহ পরম করুনাময় নিশ্চয়ই তিনি মহান আর ক্ষমাশীল।
শান্তর জন্য অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল। সমাজের কাছে অনুরোধ করছি যারা সুর ভালোবাসেন এস ডি শান্তর গান শুনবেন তার ইউটিউব এবং ফেইসবুক চ্যানেলটিকে লাক কমেন্টে ফলো দিয়ে সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকবেন।
সংগীতের আকাশে নক্ষত্র হয়ে বেঁচে থেকো শান্ত সব মানুষের ভালোবাসার এস ডি শান্ত হয়ে।

লেখক: রেবিন চৌধুরী,কবি,গীতিকার,সংস্কৃতি, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী