প্রেস বিজ্ঞপ্তি:ভারতে অবস্থানরত সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক সংবাদ প্রচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। এক বার্তায় তিনি বলেন, আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে বিগত ৫আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর উপর্যুপুরি মিথ্যা মামলা ও রাজনৈতিক হয়রানির কারনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়ে অনেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান সহ সিলেটের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ প্রতিবেশী দেশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন থেকে ‘পুলিশ অনুমোদন’ নিয়ে মেঘালয় রাজ্যের শিলং অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি শিলং শহরে অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ে যাওয়ায় বিগত নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে মেঘালয় রাজ্যের শিলং থেকে পশ্চিম বঙ্গের কলকাতায় চলে যান। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত না করেই এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ায় ইমিগ্রেশন আইনে কলকাতায় সিলেট আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের পাঁচ নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখজনক ভাবে দেখলাম বাংলাদেশে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ইমিগ্রেশন আইনে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের এই গ্রেফতারকে ন্যাক্কারজনক ভাবে ধর্ষণ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত করে ফলাও ভাবে প্রচার করা হলো। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা দায়িত্বহীন সাংবাদিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে আমি মনে করি। মূলতঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে কলঙ্কিত এবং আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে হেয় করতেই আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের নিয়ে এই অসত্য, কাল্পনিক, মনগড়া, বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা হয়। আমি সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং যে সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এই ধরনের অসত্য সংবাদ প্রচার করেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ করছি এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সত্য সংবাদ পুনরায় প্রচার করার জন্য। তবে কতিপয় ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সত্য সংবাদ পরিবেশন করেন। আমি তাদের দায়িত্বশীল আচরণের মাধ্যমে সত্য সংবাদ পরিবেশন করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম জৈন্তিয়া হিলস জেলার এমলারিয়াং বিচারিক আদালতে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ইলিয়াছ আহমদ জুয়েল, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ সভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন এবং সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছাতক উপজেলা যুবলীগ নেতা সাহাব উদ্দিন সাহেল জামিন লাভ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :