ওসমানীনগর (সিলেট) সংবাদদাতাঃ সিলেটের ওসমানীনগরে শীতের আগমনে জ্বর,সর্দী, কাশি সহ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর পাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। নবনির্মিত ৫০ শয্যা ওসমানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্থাপিত হওয়ার পরও দীর্ঘদিন থেকে প্রশাসনিক অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে হাসপাতাল টি । নবনির্মিত ভবন কম্পেলেক্স এ ৭ জন ডাক্তারের পরিবর্তে বর্তমানে টিএইচও সহ ৪ জন ডাক্তার নিয়োগ হলেও চিকিৎসা সামগ্রী, আসবাবপত্র এবং জনবল স্বল্পতায় চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত উপজেলার অসহায় সাধারণ মানুষ। বর্তমানে শীতের আগমনী বার্তায় উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের সর্বত্র জ্বর, সর্দী এবং কাশি সহ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে উক্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এনসিডি কর্ণারে এবং আউট ডোরে রোগীরা ডাক্তার দেখানো জন্য আসতে হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ সড়কের অবস্থা বেহাল খানা খন্দে পরিনত হওয়ায় মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে আসতে হয়। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সরকারি স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার জন্য রোগীরা আসার পর কাংখিত স্বাস্থ্য সেবা থেকে ও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। বর্তমান স্বাস্থ্য সেবার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসার মইনুল হাসানের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলাপ কালে তিনি জানান প্রসাশনিক অনুমোদন না থাকার কারণে আসবাবপত্র, ঔষধ সহ জনবল সংকটে আছি। সংকট লাগবে প্রসাশনিক অনুমোদন প্রয়োজন। বর্তমানে জাতীয় বক্ষ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ছোট ১ টি এক্সরে মেশিন পেয়েছি। অনুমোদনের চেষ্টা অব্যাহত আছে। বর্তমান সংকটে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীকে ওরস্যালাইন খাওয়ানো সহ স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক এবং সাব সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী রফিক উল্লা সহ একাধিক রোগীদের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন আমরা গরিব মানুষ সরকারি হাসপাতালে গিয়ে কাংখিত চিকিৎসা সেবা পাইনা। এতে অনেকেই স্থানীয় ডাক্তারের কাছে ব্যায় বহুল চিকিৎসা করাইয়াছি।
আপনার মতামত লিখুন :