কাফেলার দুই নামজাদা সদস্য,
হাবিল আর কাবিল, দু’জনাই নমস্য!
যমজ ভাইয়ের মত, শক্তি আর বল
দেখতে একই রকম একই আদল।
অতি খেয়ে তাদের অবস্থা,
ত্রাহি মধুসুদন, চ্যাপ্টা পেটটা,
তবু এসবে তাদের পরোয়া নেহি,
“খাও দাও ফূর্তি কর,” বপু হবে বড় বিশালদেহী॥
সকালে উঠেই শুরু হয় খাওয়া,
রুটি, পরোটা, হালুয়া – মুখে মুখে জমে সবার পাওয়া।
দুপুরে বিরিয়ানি, কাবাবের খেলা,
হাবিল বলে, “ভাই, পেটটা হচ্ছে বড় গোলা।
কাবিল হেসে বলে, “ওরে হাবিল,
আমরা তো আছি এই খাবারের তরে,
কয় দিনের জীবন, চল জমাই মেলা।
আমরা খাবো আর গাইবো, সবুজ মাঠে খুশির খেলা।”
বিকেলে মিষ্টি আর রসগোল্লা,
হাবিল বলে, “কত খাইবো ভাই, চলছে শুধু ঢেঁকুর
কাবিল বলে, “দেখিস না, জীবনটা আসলেই ক্ষণস্থায়ী,
এই খাওয়া দাওয়া নিয়েই থাকব আমরা সুখী চিরস্থায়ী।
রাতে পোলাও আর রোস্টের ঝোল
হাবিল আর কাবিল, হয়ে গেছে গোল
দুজনের ঘরে এসবে হরহামেশাই বাঁধে গন্ডগোল॥
“ভাইরে, আমরা তো খাবোই,
এই জীবনটাই আমাদের উৎসব,
সব খেয়েই শুধু শেষ করব সব।
হাসতে হাসতে ফুরিয়ে যায় দিন,
হাবিল আর কাবিল, নাচে ধিনা ধিন।
খাওয়ার ফুর্তিতে ভরপুর আনন্দ অনাবিল
বন্ধুত্বের অটুট বন্ধন, প্রিয় হাবিল কাবিল।
তাদের নিয়ে সবসময় হয়, রঙ তামাসা
মজার গল্প, আনন্দের রঙ্গ আর গানের জলসা॥
মজলুম হাজারীর পায় বেশ আস্কারা
যত পার খাও বাছারা, খানা নিয়ে নয় বাজে মাশকারা!
আপনার মতামত লিখুন :